৬৫ দিনের অবরোধ শেষ,মাছ ধরতে যাওয়ায় ব্যাপক প্রস্তুতি Latest Update News of Bangladesh

বৃহস্পতিবার, ০৩ অক্টোবর ২০২৪, ০৬:২০ পূর্বাহ্ন

বিজ্ঞপ্তি :
Latest Update Bangla News 24/7 আপনার চারপাশে ঘটে যাওয়া নানা খবর, খবরের পিছনের খবর সরাসরি ভয়েস অব বরিশালকে জানাতে ই-মেইল করুন- inbox.voiceofbarishal@gmail.com অথবা hmhalelbsl@gmail.com আপনার পাঠানো তথ্যের বস্তুনিষ্ঠতা যাচাই করে আমরা তা প্রকাশ করব।*** প্রতিনিধি নিয়োগ চলছে!! বরিশাল বিভাগের সমস্ত জেলা,উপজেলা,বরিশাল মহানগরীর ৩০টি ওয়ার্ড ও ক্যাম্পাসে প্রতিনিধি নিয়োগ চলছে! ফোন: ০১৭৬৩৬৫৩২৮৩




৬৫ দিনের অবরোধ শেষ,মাছ ধরতে যাওয়ায় ব্যাপক প্রস্তুতি

৬৫ দিনের অবরোধ শেষ,মাছ ধরতে যাওয়ায় ব্যাপক প্রস্তুতি

৬৫ দিনের অবরোধ শেষ,মাছ ধরতে যাওয়ায় ব্যাপক প্রস্তুতি




পটুয়াখালী প্রতিনিধি॥ আজ ২৩ জুলাই শেষ হচ্ছে বঙ্গোপসাগরে ৬৫ দিনের মৎস্য অবরোধ। দীর্ঘদিন মাছ ধরা থেকে বিরত থাকা জেলে পল্লীতে চলছে সমুদ্রে মাছ ধরতে যাওয়ায় ব্যাপক প্রস্তুতি।

 

মহামারী করোনাভাইরাস ও ৬৫ দিনের সমুদ্র অবরোধের কারণে কষ্টে জীবন যাপন করছেন সমুদ্র উপকূলীয় জেলেরা। কুয়াকাটা সমুদ্র উপকূলীয় এলাকার জেলে পল্লীগুলোতে কর্মব্যস্ত মৎস্যজীবিরা। মৎস্য বন্দর আলীপুর-মহিপুর-কুয়াকাটাসহ সমুদ্র উপকুলের জেলে পল্লী আবার সরগরম হয়ে ওঠেছে।

 

 

জেলে পল্লীতে গিয়ে দেখা গেছে, কেউ পুরানো জাল বুনছেন, কেউবা নতুন জাল প্রস্তুত করছেন। কেউবা পুরানো নৌকা বা ট্রলার মেরামত করছেন। আবার কেউ তৈরি করছেন নতুন ট্রলার।

 

উপকূলীয় অঞ্চলের জেলে পল্লী এবং মৎস্য বন্দরগুলোতে ইলিশ মৌসুমকে ঘিরে চলছে ট্রলার মালিক, জেলে এবং অড়ৎদারদের কর্মব্যস্ততা।

 

ট্রলার মালিক, আড়ৎদার, জেলে সমিতি সূত্র জানা গেছে, চলতি বছর কলাপাড়া উপজেলার মৎস্য বন্দরগুলোতে অর্ধশত ট্রলার নির্মিত হয়েছে। কারণ হিসেবে তারা উল্লেখ করেছেন, গত বছর সমুদ্রে প্রচুর ইলিশ ধরা পরায় মৎস্য ব্যবসায় সংশ্লিষ্টরা লাভবান হয়েছে। তাই এ বছর অনেক ব্যবসায়ী তার ব্যবসা বাড়িয়েছে এবং অনেকেই নতুন ব্যবসা শুরু করেছে।

 

ইতোমধ্যে বেশ কিছু নতুন ট্রলার ঘাটে নোঙ্গর করা হয়েছে। চলতি ইলিশ মৌসুমে এসব ট্রলার মাছ শিকারের জন্য পুরোপুরি প্রস্তুত।

 

 

কুয়াকাটা আশার আলো মৎস্যজীবী জেলা সমবায় সমিতির সভাপতি মোঃ নিজাম শেখ বলেন, পার্শ্ববর্তী রাষ্ট্রের সাথে সমন্বয় করে ভবিষ্যতে সমুদ্রে ইলিশ শিকারে নিষেধাজ্ঞা আরোপসহ জেলেদের প্রণোদনার পাশাপাশি রেশন কার্ড দেয়ার জন্য সরকারের প্রতি অনুরোধ করছি।

 

 

কলাপাড়া উপজেলা ফিসিং ট্রলার মাঝি সমিতির সাবেক সভাপতি নুরু মাঝি জানান, গভীর সমুদ্রে মাছ শিকার ছাড়া আর কোন পেশার তার অভিজ্ঞতা নেই। তাই অবরোধকালীন সময়ে পরিবার পরিজন নিয়ে মানবেতর জীবন যাপন করতে হয়েছে।

 

অপেক্ষায় ছিলেন ভরা মৌসুমে ইলিশ শিকারের মাধ্যমে পরিবারের মুখে হাসি ফোটাতে। সরকারের দেয়া অবরোধ মেনে সমুদ্রে মাছ শিকার করতে যাননি। কিন্তু ভারতীয় জেলেরা এ অবরোধের সুযোগ কাজে লাগিয়ে বাংলাদেশের জলসীমানায় প্রবেশ করে প্রচুর ইলিশ শিকার করে নিয়েছে।

 

 

কুয়াকাটা-আলীপুর মৎস্য আড়ৎদার ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি ও লতাচাপলী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মোঃ আনছার উদ্দিন মোল্লা বলেন, মৌসুমের শুরুতে অবরোধের ফলে দক্ষিণের বড় মৎস্য বন্দর আলীপুর-মহিপুর-কুয়াকাটা মাছের আড়ৎগুলো এতদিন নিস্প্রাণ ছিল।

 

বেকার, অলস, মানবেতর সময় পার করেছে মৎস্য শ্রমিকরা। এখন কর্মচঞ্চল হয়ে উঠবে মৎস্য বন্দর। আশা করছি এবছর সাগরে প্রচুর মাছ ধরা পড়বে। তাই জেলেদের নিরাপদ মৎস্য শিকার নিশ্চিত করতে র‌্যাবের সমন্বয়ে যৌথ বাহিনী জলদস্যু দমনে কাজ করছে তা অব্যাহত রাখার দাবী জানাই।

 

 

এবিষয়ে পটুয়াখালী জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মোল্লা এমদাদুল্লাহ বলেন, সরকারের নির্দেশক্রমে ৬৫ দিনের অবরোধ শেষ হবে ২৩ জুলাই। আমরা আশাবাদী জেলেদের জালে প্রচুর বড় ইলিশ মাছ ধরা পড়বে।

সোশ্যাল মিডিয়াতে শেয়ার করুন



Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *










Facebook

© ভয়েস অব বরিশাল কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
Developed BY: AMS IT BD